রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

কালুখালীতে পাওনা টাকা না পেয়ে ফাহিমাকে খুন

কালুখালীতে পাওনা টাকা না পেয়ে ফাহিমাকে খুন

রাজবাড়ীর কালুখালীতে অজ্ঞাতনামা মহিলার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মো. আ. রহিম মন্ডল (৫৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কালুখালী উপজেলার বড়ইচাড়া এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সে পাংশা উপজেলার জাগির কয়া গ্রামের মৃত তাছের আলী মন্ডলের ছেলে। অজ্ঞাতনামা মহিলা নিহত ফাহিমা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

এসময় রেজাউল করিম জানান, গত ৫ অক্টোবর পৌনে ৭টার দিকে কালুখালী উপজেলার কাওয়াখোলা এলাকায় বাবু শিকদারের ধান ক্ষেতের ভিতর একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার অর্ধগলিত মরদেহ স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কালুখালী থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু মরদেহটির পরিচয় সনাক্তের জন্য কোন ধরনের তথ্য উপাত্ত ছিলনা। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ, মাইকিং, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো সত্ত্বেও নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পরে কালুখালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে গত ৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু করেন এবং সেই মামলার সূত্র ধরে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন পূর্বক মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী মো. আ. রহিম মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামী রহিম পুলিশের নিকট স্বীকার করে অর্ধগলিত মৃতদেহটি ফাহিমার। তারা ৩ বছর পূর্বে একই সঙ্গে কাতারে ছিল। কাতারে থাকা অবস্থায় ফাহিমা তার কাছ থেকে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। দুজনই দেশে আসার পর তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ফাহিমা পাওনা টাকা দিতে তাল-বাহানা করায় মো. আ. রহিম মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামী রহিম মন্ডল গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার সময় ভাঙ্গা হতে কালুখালী থানার বাবু শিকদারের ধানক্ষেতে এনে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মৃতদেহটি গুম করার জন্য মরদেহটি ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে। পরে রহিমের দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিকটিমের ছবি সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com